Featured Posts

মঙ্গলবার, ৫ মে, ২০১৫

ইসলামিক লেকচার পরিচিতিঃ Getting To Know The Companions RA

- কোন মন্তব্য নেই

আস্‌সালামু আলাইকুম :) আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভালো আছেন। পরীক্ষাসহ বিভিন্ন ব্যস্ততার কারণে প্রায় দীর্ঘ একমাস পর লিখতে বসলাম। এই একমাসে আমার ইসলামিক পড়াশুনার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলো গত রামাদানে (১৪৩৫ হিজরীতে) মুফতি ইসমাইল মেংকের দেয়া লেকচার সিরিজ Getting To Know The Companions RA। ইনশা আল্লাহ আজকের লেখাটিতে তুলে ধরার চেষ্টা করবো লেকচারটির বিভিন্ন দিক ও আমার অভিজ্ঞতা।

মঙ্গলবার, ৩ মার্চ, ২০১৫

ইসলামিক লেকচার পরিচিতিঃ Seerah of Prophet Muhammed (PBUH)

- কোন মন্তব্য নেই
Seerah of Prophate SAW
আস্‌সালামু আলাইকুম :) আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভালো আছেন। অনেকদিন আগে ইসলামিক লেকচার পরিচিতি নামে একটি বিভাগ শুরু করলেও ব্যস্ততার কারণে এখন পর্যন্ত তেমন লেখা হয়নি (জানেনই তো বেকার মানুষের ব্যস্ততা বেশি :P)। তাছাড়া নিজে লেকচার না দেখে লেখা তো আর সম্ভব নয়। তবে এই ব্যস্ততার মাঝেই কিছুদিন আগে শাইখ ইয়াসির ক্বাদির একটি দীর্ঘ লেকচার সিরিজ দেখা শুরু করেছি। এক শব্দে যদি মন্তব্য করি তবে তা হবে 'অসাধারণ!' নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবনী নিয়ে আমার দেখা সেরা লেকচার সিরিজ এটি। তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে জেনে নেই শাইখ ইয়াসির ক্বাদির লেকচার সিরিজ ‘Seerah of Prophet Muhammed (PBUH)’ সম্পর্কে কিছু তথ্য।

মঙ্গলবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

ধন-সম্পদ, সুস্থতা ও আল্লাহর পরীক্ষা

আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছেন যে, ‘‘বনী ইসরাঈলের মধ্যে তিন ব্যক্তি ছিল। একজন ধবল-কুষ্ঠ রোগাক্রান্ত, দ্বিতীয়জন টেকো এবং তৃতীয়জন অন্ধ ছিল। আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে পরীক্ষা করার ইচ্ছা করলেন। ফলে তিনি তাদের কাছে একজন ফিরিশতা  পাঠালেন। ফিরিশতা (প্রথমে) ধবল-কুষ্ঠ রোগীর কাছে এসে বললেন, ‘তোমার নিকট প্রিয়মত বস্তু কী?’ সে বলল, ‘সুন্দর রং ও সুন্দর ত্বক। আর আমার নিকট থেকে এই রোগ দূরীভূত হোক - যার জন্য মানুষ আমাকে ঘৃণা করছে।’ অতঃপর তিনি তার দেহে হাত ফিরালেন, যার ফলে (আল্লাহর আদেশে) তার ঘৃণিত রোগ দূর হয়ে গেল এবং তাকে সুন্দর রং দেওয়া হল। অতঃপর তিনি বললেন, ‘তোমার নিকট প্রিয়তম ধন কী?’ সে বলল, ‘উট অথবা গাভী।’ (এটি বর্ণনাকারীর সন্দেহ।) সুতরাং তাকে দশ মাসের গাভিন একটি উটনী দেওয়া হল। তারপর তিনি বললেন, ‘আল্লাহ তোমাকে এতে বরকত (প্রাচুর্য) দান করুন।’

শনিবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

এক মুশরিক রাজা, মুসলিম বালক ও সবর (ধৈর্য)

সুহাইব রাদিয়াল্লাহু আনহু কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘তোমাদের পূর্ব যুগে একজন বাদশাহ ছিল এবং তাঁর (উপদেষ্টা) এক জাদুকর ছিল। জাদুকর বার্ধক্যে উপনীত হলে বাদশাহকে বলল যে, ‘আমি বৃদ্ধ হয়ে গেলাম তাই আপনি আমার নিকট একটি বালক পাঠিয়ে দিন, যাতে আমি তাকে জাদু-বিদ্যা শিক্ষা দিতে পারি।’ ফলে বাদশাহ তার কাছে একটি বালক পাঠাতে আরম্ভ করল, যাকে সে জাদু শিক্ষা দিত। তার যাতায়াত পথে এক পাদ্রী বাস করত। যখনই বালকটি জাদুকরের কাছে যেত, তখনই পাদ্রীর নিকটে কিছুক্ষণের জন্য বসত, তাঁর কথা বালকটির ভালো লাগত। ফলে সে যখনই জাদুকরের নিকট যেত, তখনই যাওয়ার সময় সে পাদ্রীর কাছে বসত। যখন সে পাদ্রীর কাছে আসত জাদুকর তাকে (তার বিলম্বের কারণে) মারত। ফলে সে পাদ্রীর নিকটে এর অভিযোগ করল। পাদ্রী বলল, ‘যখন তোমার ভয় হবে যে, জাদুকর তোমাকে মারধর করবে, তখন তুমি বলবে, আমার বাড়ির লোক আমাকে (কোনো কাজে) আটকে দিয়েছিল। আর যখন বাড়ির লোকে মারবে বলে আশঙ্কা হবে, তখন তুমি বলবে যে, জাদুকর আমাকে (কোনো কাজে) আটকে দিয়েছিল।’

মঙ্গলবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

বিশ্বস্ত বন্ধুত্বের পথে ৪ টি পদক্ষেপ

যখন আমরা বিশ্বস্ত বন্ধুর কথা ভাবি, তখন আমরা কেবল সর্বকালের সবচেয়ে বিশ্বস্ত বন্ধু আবু বকর আস-সিদ্দীক্ব (রাদিয়াল্লাহু আনহু)-এর কথাই ভাবতে পারি। তাঁর ইসলাম গ্রহণ সম্পর্কে রাসূল (ﷺ)  বলেন, “আমি যার কাছেই ইসলাম পেশ করেছি, সে-ই ইসলাম গ্রহণের পূর্বে নিজে নিজে বিবেচনা করেছে, একটু চিন্তিত হয়েছে কিংবা আমার নবুওয়াতের প্রমাণ চেয়েছে। কিন্তু আবু বকরকে ইসলাম পেশ করার সঙ্গে সঙ্গে নিঃসংকোচে সে ইসলাম গ্রহণ করেছে।” সুবহান আল্লাহ! কী অপূর্ব তাদের বন্ধুত্বের ভীত। নবী (ﷺ) তাঁকে এতোটাই বিশ্বাস করতেন যে, তিনি তাঁকে ‘আস-সিদ্দিক্ব’ উপাধি দিয়েছিলেন, কারণ তাঁর বিশ্বাস ছিলো দৃঢ় ও অটল, আর তাঁর বন্ধুত্ব ছিলো পাথরের মতো কঠিন যার কারণে তিনি অনেকবারই নবীজির (ﷺ) বাণীকে সমর্থন করতে গিয়ে বিসর্জন দিয়েছেন নিজের সম্পদ ও নিরাপত্তা।

রবিবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০১৫

ভয়কে জয় করার তিনটি শক্তিশালী কৌশল

- কোন মন্তব্য নেই
মানুষ হিসেবে আমাদের প্রায় সবারই ভয় পাওয়ার অভিজ্ঞতা আছে। এমনকি জগতের কিছু চূড়ান্ত সফল ও আত্মবিশ্বাসী মানুষেরও এই অভিজ্ঞতাটি রয়েছে। ভয় একটি ইতিবাচক অনুভূতি কারণ এটি আমাদের যেকোনো ক্ষতিকর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা থেকে বিরত রাখে, কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আমাদের ভয় কিছু অতিরঞ্জিত অনুমানের ভিত্তিতে তৈরি হয়। আর এই ভয়ঙ্কর চিন্তাভাবনাগুলোকে দেখা যায় আমাদের লক্ষ্য ও স্বপ্নপূরণের পথে।

সচরাচর আমদের মাঝে যে ভয়গুলো দেখা যায় তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলোঃ

    - ব্যর্থতার ভয়

বৃহস্পতিবার, ২২ জানুয়ারী, ২০১৫

অ্যাপ্‌স পরিচিতিঃ Bangla Hadith (বাংলা হাদিস)

আস্‌সালামু আলাইকুম। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালো আছেন। তথ্য-প্রযুক্তির এই যুগে স্মার্টফোন ব্যবহার করে না এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম। আর এ ধরনের মোবাইল ফোন ব্যবহারের দিক দিয়ে তরুণরাই সবচেয়ে এগিয়ে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য অধিকাংশ তরুণই তাদের অবসর সময়ের একটি বিরাট অংশ ব্যয় করে বিভিন্ন ধরনের গেইমস্‌ খেলা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘোরাফেরার মাধ্যমে। এই অপচয়কৃত সময়ের সামান্য অংশ যদি তারা দ্বীন শিক্ষার কাজে ব্যয় করতো তবে জাতি হিসেবে আজ আমাদের এতো অধপতন ঘটতো না। তাছাড়া অনেক ভাইয়ের ইসলামিক জ্ঞান অর্জনের ইচ্ছা থাকলেও উপযুক্ত মাধ্যম ও উপকরণের অভবে তারা খুব বেশি এগুতে পারে না। তাই আমার আজকের পোস্ট সেই সব ভাই ও বোনদের জন্য যারা তাদের মোবাইল ফোনকে দ্বীনি জ্ঞান অর্জনের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করতে আগ্রহী। ইনশা আল্লাহ এই পোস্টের মাধ্যমে আমি Bangla Hadith (বাংলা হাদিস) নামে একটি হাদিস অধ্যয়নের মোবাইল অ্যাপ্‌স সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত পরিচিতি তুলে ধরার চেষ্টা করবো যা ব্যবহার করে আপনারা আপনাদের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অফলাইনেই হাদিস পড়তে পারবেন।

নামঃ Bangla Hadith (বাংলা হাদিস)


সংক্ষিপ্ত পরিচিতিঃ মোবাইলে হাদিস পড়ার জন্য Bangla Hadith (বাংলা হাদিস) একটি অসাধারণ অ্যাপ্‌স। বাংলা ভাষাভাষী মুসলামনদের জন্য এই অ্যাপ্‌সটি ডেভেলপ করেছে বাংলা হাদিস টীম। সম্পূর্ণ অফলাইনে (ইন্টারনেটের সংযোগ ছাড়াই) হাদিস অধ্যয়নের এই অ্যাপ্‌সটিতে রয়েছে সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিম, রিয়াযুস স্বালেহিন, সুনানে আবু দাউদ, সুনানে নাসাঈ, সুনানে ইবনে মাজাহসহ আরো কয়েকটি হাদিস গ্রন্থ। এর মাধ্যমে হাদিস পড়া যাবে বাংলা, আরবী ও ইংরেজি ভাষায়। তবে অনেকগুলো হাদিসের বাংলা তর্জমা থাকলেও আরবী ও ইংরেজি ভাষা এখনো যোগ করা হয়নি। এই অ্যাপ্‌সটির উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্যগুলোর একটি হলো সহজেই হাদিস সার্চ করার সুযোগ। এতে হাদিস সার্চ করা যায় বাংলা, আরবী ও ইংরেজি শব্দ দিয়ে, গ্রন্থানুসারে, হাদিস নম্বর ও রেঞ্জ অনুসারে। এর আরেকটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো প্রতিটি হাদিসের সাথেই উল্লেখ করা আছে হাদিসের মান (সহীহ/হাসান/যঈফ/জাল ইত্যাদি)। তাছাড়া হাদিস পাঠের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করার জন্যও রয়েছে বিভিন্ন সুযোগ। বর্তমানে অ্যাপ্‌সটি অ্যান্ড্রয়েড ও আইফোনের জন্য পাওয়া যাচ্ছে।

শুক্রবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০১৫

তিনস্তরের ছাঁকনী (শিশুতোষ গল্প)


ঘটনাটি আব্বাসীয় খিলাফার স্বর্ণযুগের সময়কার। মুসলিম সালতানাতের রাজধানী বাগদাদে বাস করতেন এক জ্ঞানী ব্যক্তি যিনি তাঁর অসাধারণ জ্ঞানের জন্য সুপরিচিত ছিলেন।

একদিন তাঁর পরিচিত এক লোক তাঁর সাথে দেখা করতে এসে বলতে লাগলো, জানেন, এইমাত্র আপনার বন্ধু সম্পর্কে আমি কী শুনেছি?

জ্ঞানী লোকটি বললেন, দাঁড়াও। কোনো কিছু বলার আগে আমি চাই তুমি একটি ছোট্ট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হও। পরীক্ষাটির নাম তিনস্তরের ছাঁকনী পরীক্ষা।

তিনস্তরের ছাঁকনী?

ঠিক তাই, জ্ঞানী লোকটি বলতে লাগলেন, আমার বন্ধু সম্পর্কে কোনো কিছু বলার আগে তুমি যা বলতে চাও তা একটু পরীক্ষা করে নিলে খুব ভালো হবে।

সে কারণেই আমি একে তিনস্তরের ছাঁকনী পরীক্ষা বলে ডাকি।

প্রথম স্তর হচ্ছে সত্য। তুমি কী এ ব্যাপারে নিশ্চিত যে যা বলতে চাইছো তা পুরোপুরি সত্য?

নাহ্‌, লোকটি বললো, আসলে আমি বিষয়টি সম্পর্কে এইমাত্র জেনেছি এবং...

বুধবার, ৭ জানুয়ারী, ২০১৫

বই পরিচিতিঃ অপরাজিত

- কোন মন্তব্য নেই


কিছুদিন আগেই সেমিস্টার শেষ হওয়ায় ছুটি কাটাতে বাড়ি গিয়েছিলাম। সেখানেই বন্ধু শাওনের সাথে আড্ডা ও ঘোরাঘুরি করতে করতে একদিন কিনে ফেললাম নসীম হিজাযীর নতুন (আমার কাছে) একটি বই। নাম অপরাজিত। মূল নাম পরদেশি দিরখাত (পরদেশি গাছ)। চলুন কথা না বাড়িয়ে জেনে নেই বইটি সম্পর্কে কিছু তথ্য।

অপরাজিতবইয়ের নামঃ অপরাজিত

লেখকঃ নসীম হিজাযী

অনুবাদকঃ আবদুল মান্নান তালিব

সংক্ষিপ্ত বর্ণনাঃ উর্দু সাহিত্যের প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক নসীম হিজাযী রচিত অপরাজিত উপন্যাসটি মূলত এক তরুণ ঔপন্যাসিকের জীবনে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন চরাই-উতরাইকে কেন্দ্র করে লেখা। আর এর সময়কাল ছিলো ঊনিশশো চল্লিশের দশক যখন উপমহাদেশে চলছিলো পাকিস্তানের আজাদী আন্দোলন। উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র ইউসুফ বাবা-মায়ের বড় সন্তান। বাবা-মায়ের প্রিয় সন্তান হওয়ার জন্য আদব, সততা, সাহসীকতা, বুদ্ধিমত্তা, ঈমানদারীতা ইত্যাদি যতগুলো গুণের প্রয়োজন তার প্রায় সবগুলোই ছিলো ইউসুফের মধ্যে। সে ছিলো লাহোর ইসলামিয়া কলেজের ছাত্র। মামাতো ভাইয়ের বন্ধুর সাথে কোয়েটায় ভ্রমণে গিয়ে মুহাম্মদ সিদ্দীক নামে এক আর্মি অফিসারের জীবন বাঁচানোর মাধ্যমে ইউসুফের গভীর সম্পর্ক গড়ে ওঠে তার পরিবারের সাথে। আর সেখান থেকেই ঘটনার শুরু। সিদ্দীক সাহবের অনুরোধে সে তার বাড়িতে বেড়াতে যায় এবং ঐ পরিবারের ছোট্ট মেয়ে নাসরীন ও তার নানীর সাথে ইউসুফের গড়ে ওঠে ভীষণ ভাব। আর সেখানেই সে তার প্রথম উপন্যাস লেখা শুরু করে। বাড়ি ফেরার পর গ্রামে তার বাবার এক ধনী বন্ধুর বাড়ি ডাকাতের হাত থেকে রক্ষার পর পুলিশের সাথেও তার ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং পুলিশের চাকরীতে তার তরক্কীর পথ উন্মুক্ত হয়ে যায়। যদিও তার বাবা এতে অনেক খুশি হয়েছিলেন এবং চাইছিলেন ইউসুফ এই ধরনেরই কিছু করার মাধ্যমে নিজের ভবিষ্যৎ গড়ে তুলুক, কিন্তু তার ইচ্ছা ছিলো ভিন্ন। তার দৃঢ় স্বপ্ন ছিলো একদিন সে বড় ঔপন্যাসিক হবে এবং তার মাধ্যমেই সে তার রুটি-রুজির ব্যবস্থা করবে। আর এ ব্যাপারে তার মায়ের ছিলো পূর্ণ সমর্থন। এক সময় ইউসুফের বাবা লাহোরে বদলি হয়ে গেলে তারা সপরিবারে সেখানে চলে আসে। লাহোরে পৌঁছে সে পাকিস্তানের আজাদী আন্দোলনের সমর্থনে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় লেখালেখি শুরু করে। ফলে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে তার সুখ্যাতি। ঘটনাক্রমে আবার কোয়েটায় দেখা হওয়া সেই পরিবারের সাথে দেখা হয় ইউসুফের পুরো পরিবারের, যেখানে উপস্থিত ছিলো ইউসুফের মায়ের সপ্নের শাহজাদী, নাসরীনের বড় বোন ফাহমিদা। তারপর ধীরে ধীরে দু পরিবারের সম্পর্ক হতে থাকে ঘনিষ্ট থেকে ঘনিষ্টতর। কিন্তু হঠাৎ ইউসুফের জীবনে নেমে আসে দুঃখের কালো ছায়া। কলেরায় আক্রান্ত হয়ে মারা যায় দুনিয়ায় তার সবচেয়ে প্রিয় ব্যক্তিত্ব তার মা। ফলে সে হয়ে পড়ে নিঃসঙ্গ। আর এই নিঃসঙ্গতায় তার পাশে এসে দাঁড়ায় ফাহমিদা ও তার পরিবার যা তাকে তার উপন্যাস সম্পন্ন করতে অনুপ্রেরণা যোগায়। উপন্যাসের শেষ পর্যায়ে লেখা কিছু কথা থেকে এটা সহজেই অনুমান করা যায় যে উপন্যাসের মূল চরিত্র ইউসুফের মাধ্যমে লেখক মূলত নিজেরই অসমাপ্ত আত্মজীবনী ফুটিয়ে তুলেছেন, যা থেকে অনুপ্রেরণা গ্রহণ করতে পারে যে কোনো তরুণ লেখক।

সোমবার, ৫ জানুয়ারী, ২০১৫

রাজার দেওয়া বীজ (শিশুতোষ গল্প)

- কোন মন্তব্য নেই


অনেক অনেক দিন আগে এক দেশে এক রাজা বাস করতো। তার রাজ্যটি ছিলো খুব সুন্দর, সুখী ও সমৃদ্ধশালী। কিন্তু একটি ব্যাপারে রাজা ছিলেন কিছুটা চিন্তিত। তিনি প্রায় বৃদ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন কিন্তু তখনো পরবর্তী রাজা নির্বাচন করতে পারেননি। নিজের সহকারী কিংবা সন্তান-সন্ততিদের মধ্য থেকে রাজা নির্বাচন না করে তিনি চাইছিলেন নতুন কিছু করতে। তাই একদিন তিনি তার রাজ্যের সকল তরুণ ও যুবকদের একত্রিত করে ঘোষণা করলেন, বয়সতো আমার অনেক হলো। তাছাড়া পরবর্তী রাজা নির্বাচিত করার সময়ও এসে গেছে। তাই আমি ঠিক করেছি তোমাদের মধ্য থেকেই পরবর্তী রাজা নির্বাচিত করবো।

বীজ রোপনরাজার কথায় সবাই অবাক হয়ে গেলো! কিন্তু তিনি তার কথা চালিয়ে গেলেন, আজ আমি তোমাদের সবাইকে একটি করে বীজ দেবো। আর বীজটি এক বিশেষ প্রজাতির। আমি চাই তোমরা এই বীজটি রোপন করে নিয়মিত পানি দাও ও এর পরিচর্যা করো। আর আজকের দিন থেকে ঠিক এক বছর পর তোমরা আমার কাছে ফিরে আসবে বীজ থেকে কে কী উৎপাদন করেছো তা নিয়ে। তারপর তোমাদের আনা গাছগুলো পরীক্ষা করেই আমি ঠিক করবো কে হবে আমাদের পরবর্তী রাজা।

শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৪

বই পরিচিতিঃ ভেঙ্গে গেলো তলোয়ার

- কোন মন্তব্য নেই


আস্‌সালামু আলাইকুম। আশা করি আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। বই পরিচিতির গত পর্বে আমি জানিয়েছিলাম খুন রাঙা পথ বইটি সম্পর্কে। আমাদের আজকের বই ভেঙ্গে গেলো তলোয়ার। এটি মূলত আগের বইটিরই দ্বিতীয় ও শেষ অংশ। এই বইটিতে তুলে ধরা হয়েছে মহীশুরের জনন্দিত শাসক টিপু সুলতানের বীরত্বপূর্ণ জীবনকাহিনী। চলুন জেনে নেই বইটি সম্পর্কে আরো কিছু তথ্য।
ভেঙ্গে গেলো তলোয়ার

বইয়ের নামঃ ভেঙ্গে গেলো তলোয়ার

লেখকঃ নসীম হিজাযী

অনুবাদকঃ সৈয়দ আবদুল মান্নান

সংক্ষিপ্ত বর্ণনাঃ মহীশুরের বীর শাসক টিপু সুলতানের যে তলোয়ার বৃটিশদের বুকে ত্রাসের সঞ্চার করতো, হায়দারাবাদের নিজাম ও দুর্দান্ত মারাঠা জাতির মিলিত শক্তি যে তলোয়ারে আঁচড় লাগাতে পারেনি, সেই তলোয়ার ভেঙ্গে গেলো মহীশুরের দেওয়ান ও টিপু সুলতানের কুটুম্ব মীর সাদিকের প্রতারণা ও বিশ্বাসঘাতকতার কাছে। গাদ্দার মীর সাদিক মহীশুরের পতনের আগেই কতল হলো। মৃত্যু দিয়ে বুঝতে পারলো যে বেঈমানী করে শুধু স্বদেশের ও স্বজাতির স্বাধীনতা নিয়ে সওদা করেনি, নিজ স্ত্রী-কন্যাদের ইযযতেরও সওদা করেছে। মহীশুরের পতনের পর হয়ত বা তার বিদেহী আত্মা দেখতে পেয়েছিল ইংরেজ কর্তৃক তার স্ত্রী-কন্যার লেবাস ছিনিয়ে নেয়ার এক পাশবিক দৃশ্য। মহীশুরের সিংহ-শার্দুল পরাজিত হলো এবং এর সাথে পতন ঘটলো ভারতের শেষ শক্তিশালী দুর্গটির।

সোমবার, ১ ডিসেম্বর, ২০১৪

বই পরিচিতিঃ খুন রাঙা পথ

- কোন মন্তব্য নেই


আস্‌সালামু আলাইকুম। আশা করি আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। হাজির হলাম আরো একটি বই পরিচিত নিয়ে। নিজে ভালো বই পড়ুন এবং অন্যকে ভালো বই পড়তে উৎসাহিত করুন মূলত এই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই আমার বই পরিচিতি লেখা। আজকের বই প্রখ্যাত ঐতিহাসিক ঔপন্যাসিক নসীম হিজাযী রচিত উপন্যাস খুন রাঙা পথ

বইয়ের নামঃ খুন রাঙা পথ

লেখকঃ নসীম হিজাযী

অনুবাদকঃ সৈয়দ আবদুল মান্নান

সংক্ষিপ্ত বর্ণনাঃ পলাশী প্রান্তরে মুসলমানদের ভাগ্য বিপর্যয়ের সূচনা থেকে শুরু করে মহীশূরে সুলতান ফতেহ আলী খান টিপুর উত্থান পর্যন্ত সময়ের পটভূমিকায় খুন রাঙা পথ উপন্যাসটি রচিত। নওয়াব আলীবর্দী খানের শাসন-আমলের যেসব ত্রুটিবিচ্যুতি দেশে অসংখ্য গাদ্দারের মাথা তুলবার সুযোগ দিয়ে বৃদ্ধ নওয়াবের ইন্তেকালের পর তাঁর প্রাণাধিক প্রিয় দৌহিত্র তরুণ নওয়াব সিরাজুদ্দৌলার ভাগ্য বিপর্যয়ের পথ খোলাসা করেছিল, মূল লেখক তার একটি সুন্দর চিত্র পেশ করেছেন পাঠকদের সামনে। তাঁর রচনার প্রধান বৈশিষ্ট্য - ঐতিহাসিক সত্যকে তিনি বিকৃত করেননি কোথাও। ইসলামী জাহানের ইতিহাসে আমরা দেখি, কোথাও কখনো সত্যিকার মুসলিম মুজাহিদ