গল্পটি ইংল্যান্ডের এক মুসলিম যুবক ও তার এলাকার ইমামকে নিয়ে,
যেখানে যুবকটি কয়েক মাস আগেই নিয়মিত মসজিদে গিয়ে সালাত আদায় করা
শুরু করেছিল। কিন্তু হঠাৎ সে অনিয়মিত হয়ে পড়ল। মসজিদের ইমাম ব্যাপারটি লক্ষ্য
করলেন। তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন পরবর্তী শুক্রবার যুবকটিকে দেখতে যাবেন।
দেখতে দেখতে শুক্রবার এসে গেল। হিমশীতল সন্ধায় ইমাম সাহেব তাকে
দেখতে গেলেন। তিনি দেখলেন যুবকটি বাড়িতে একা এবং (ফায়ারপ্লেসের) উজ্জ্বল অগ্নিশিখার
সামনে বসে আছে। ইমাম সাহেবের আগমনের কারণ ভাবতে ভাবতে সে দরজার কাছে গেল এবং ইমাম
সাহেবকে সালাম জানালো। তারপর ইমাম সাহেবকে ফায়ারপ্লেসের নিকটে একটি আরামদায়ক
জায়গায় বসতে দিয়ে তিনি কী বলতে চান তা জানার জন্য অপেক্ষা করতে লাগলো...
ইমাম সাহেব নিজেকে পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নিলেন,
কিন্তু কিছু বললেন না। পিন পতন নিরবতায় তিনি জ্বলন্ত কাঠের গুড়ির
চারপাশে কম্পমান আগুনের দিকে তাকিয়ে রইলেন। কয়েক মিনিট পর তিনি আগুন নাড়ানোর
সাঁড়াশিটি হাতে তুলে নিলেন এবং তা দিয়ে খুব সতর্কতার সাথে একটি
উজ্জ্বল জ্বলন্ত অ্যাম্বারের টুকরো ফায়ারপ্লেস থেকে উঠিয়ে মেঝেতে রাখলেন। তারপর
তিনি আবার তার চেয়ারে ফিরে গিয়ে চুপচাপ বসে থাকলেন।
যুবকটি নিরবে সবকিছু দেখে যেতে লাগলো। যখন অ্যাম্বারের টুকরোটি
আলাদা করে রাখা হল তখন ধীরে ধীরে তার আগুনের দ্যুতি কমে যেতে লাগলো এবং এক সময়
সম্পূর্ণ নিভে গেল। দরজায় সালাম বিনিময়ের পর থেকে এখন পর্যন্ত তাদের মধ্যে এক
শব্দও কথা হয়নি। ইমাম সাহেব তার ঘড়ির দিকে তাকালেন এবং বুঝতে পারলেন এখনই তার চলে যাওয়া
উচিত। তিনি ধীরে ধীরে উঠে দাঁড়ালেন এবং নিভে যাওয়া ঠাণ্ডা কয়লাটি তুলে নিয়ে পূণরায়
আগুনের মাঝখানে রেখে দিলেন। সাথে সাথে টুকরোটি রক্তিম বর্ণ ধারণ করতে লাগলো এবং
হঠাৎ পূণরায় উজ্জ্বল আগুনের সাথে জ্বলে উঠলো। চলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ইমাম সাহেব যখন
দরজার নিকট পৌঁছালেন, অশ্রুসিক্ত চোখে যুবকটি
তাঁকে উদ্দেশ্য করে বলল, “ধন্যবাদ আমাকে দেখতে আসার জন্য,
বিশেষ করে আপনার অগ্নিঝরা উপদেশের জন্য। ইনশা আল্লাহ, আগামীকাল ফজর থেকেই আমি পূণরায় মসজিদে গিয়ে সালাত আদায় করবো।”
বলে দিনঃ এই আমার পথ। আল্লাহর দিকে বুঝে সুঝে দাওয়াত দেই আমি এবং আমার অনুসারীরা। আল্লাহ পবিত্র। আমি অংশীবাদীদের অন্তর্ভুক্ত নই।
[সূরা ইউসুফঃ ১০৮]
আমাদের সর্বোত্তম দাওয়াহ (ইসলামের দিকে ডাকা) হচ্ছে আমাদের
দেয়া উদাহরণ। আমাদের কাজ আমাদের বলা কথার চেয়ে অধিক শক্তিশালী। আমরা আজ এমন এক
পৃথিবীতে বাস করি যেখানে কাজের চেয়ে কথার পরিমাণই বেশি। তার উপর খুব কম মানুষই এসব
কথা শোনে। মাঝে মাঝে সর্বোত্তম উপদেশ হচ্ছে সেটা, যা নিরবে দেয়া হয়।
পাদটীকাঃ ইন্টারনেটে পড়া একটি
ছোট্ট গল্প অবলম্বনে লেখা।
সকল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহ এর জন্য যে আল্লাহর অশেষ রহমতে ব্ল্যাক ফ্ল্যাগ সিরিজের প্রথম বইয়ের অনুবাদ “খোরাসান থেকে কালো পতাকা” প্রকাশিত হয়েছে। হলুদ মিডিয়া যা জানতে দিবে না তা জানতে পড়ুন এই বইগুলো।
উত্তরমুছুনবইটি আপনারা এখান থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন। এছাড়া অনলাইনেও পড়ার ব্যাবস্থা ও আলাদা প্রবন্ধ হিসেবে পড়ার ব্যাবস্থাও আছে।
http://blackflagseriesinbangla.wordpress.com/
https://www.facebook.com/blackflagseriesinbangla