শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৩

অন্তরের প্রশান্তির খোঁজে (পর্ব ২)

পর্ব ১ » এখানে


আমাদের জীবনে বিদ্যমান বাধাঁগুলো দূর করতে হলে আমাদের সবচেয়ে বেশি মনোযোগী হতে হবে আত্মসংশোধনের ব্যাপারে, কারণ এ সম্পর্কে আল্লাহ বলেন,

আল্লাহ কোন জাতির অবস্থা পরিবর্তন করেন না, যে পর্যন্ত না তারা তাদের নিজেদের অবস্থা পরিবর্তন করে।
[আর-রাদঃ ১১]



প্রশান্ত হৃদয়আর এটাই সেই দিক যার উপর আমাদের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। এমনকি আমরা আমাদের ধৈর্যধারণ ক্ষমতারও উন্নতি করতে পারি, যদিও এটি একটি সাধারণ ধারণা যে কিছু মানুষ দারুণ ধৈর্যশক্তি নিয়েই জন্মগ্রহণ করে।\
ধৈর্যধারণের গুরুত্বঃ


এক লোক নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে এসে জিজ্ঞেস করলো, জান্নাত পাওয়ার জন্য তার কী করা দরকার। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বললেন,

রাগান্বিত হয়ো না।
[সহীহ বুখারী]

লোকটির একটি বৈশিষ্ট্য ছিল, সে খুব দ্রুত রেগে যেত। তাই নবীজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বললেন তার এ অভ্যাসটি বদলাতে হবে। অতএব, মানুষের পক্ষে নিজেকে কিংবা নিজের একটি চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন করা সম্ভব। নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরও বলেন,

যে ব্যক্তি ধৈর্যশীল হওয়ার ভান করে (ধৈর্যশীল হওয়ার উদ্দেশ্যে), আল্লাহ তাকে ধৈর্য দান করেন।
[সহীহ বুখারী]


এর অর্থ যদিও কিছু মানুষ ধৈর্যশীল হিসেবেই জন্মগ্রহণ করে, আমাদের বাকি সকলকেই ধৈর্যশীল হতে শিখতে হবে।

মজার ব্যাপার হল, এক সময় পশ্চিমা মনঃচিকিৎসা ও মনোবিদ্যায় রাগকে আমাদের বুকের মাঝে জমিয়ে না রেখে ঝেড়ে ফেলতে বলা হত। কারণ, তা না হলে আমাদের মাঝে (ক্ষোবের) বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। তাই রাগকে নিজের মত প্রকাশ হতে দেয়াই উত্তম।

নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের ধৈর্যশীল হতে বলেছেন। এ ব্যাপারে আমাদের কঠোর চেষ্টা করতে হবে, অন্ততঃ বাহ্যিকভাবে ধৈর্যশীল হতে হবে, যদিও ভেতরে ভেতরে আমরা রাগে বিস্ফোরিত হতে থাকি। আর আমরা ধৈর্যশীল হওয়ার জন্য কঠোর চেষ্টা করব মানুষকে দেখানোর জন্য নয়; বরং আমরা তা করব নিজের ধৈর্যশীলতা বৃদ্ধির জন্য। আমরা যদি এটি নিয়মিত চেষ্টা করি তবে বাহ্যিকরূপের পাশাপাশি আমাদের অন্তরেও ধৈর্যশীলতা সৃষ্টি হবে। আর এভাবেই পূর্ণাঙ্গ ধৈর্যশীলতা অর্জিত হবে এবং অর্জন করা সম্ভব, যা উপর্যুক্ত হাদীসে বলা হয়েছে। ধৈর্যশীলতা অর্জনের ক্ষেত্রে যেসব পদ্ধতির উপর দৃষ্টিপাত করা প্রয়োজন তার মধ্যে একটি হল বস্তু জগতের বিভিন্ন উপাদানগুলো কীভাবে ধৈর্যশীলতার উপর প্রভাব বিস্তার করে তা পর্যবেক্ষণ করা।

নবীজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের উপদেশ দিয়ে গেছেন কীভাবে এসব জাগতিক উপাদান নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। তিনি বলেন, “তাদের প্রতি দৃষ্টিপাত করো না যারা তোমাদের চেয়ে বেশি ভাগ্যবান, বরং তাদের প্রতি দৃষ্টিপাত কর যারা তোমাদের চেয়ে কম ভাগ্যবান...।” এর কারণ আমাদের অবস্থা যা-ই হোক না কেন, এমন অনেক মানুষ আছে যাদের অবস্থা আমাদের চেয়েও খারাপ। বস্তু জগতের ব্যাপারে এটি আমাদের সাধারণ কৌশল হওয়া উচিত। বর্তমানে বস্তু জগত আমাদের জীবনের এমন এক অংশে পরিণত হয়েছে যে এটি আমাদের পুরোপুরি আচ্ছন্ন করে রেখেছে; এ পৃথিবীর সবকিছু অর্জনই যেন আমাদের জীবনের মূল লক্ষ্য, যার পেছনে আমরা আমাদের সমস্ত শক্তি ব্যয় করছি। তাই কাউকে যদি এমনটি করতেই হয়, তবে তা যেন তার অন্তরের প্রশান্তিকে প্রভাবান্বিত না করে, আর প্রকৃতপক্ষে তা অসম্ভব।

বস্তু জগতের পেছনে ঘোরার সময় আমাদের তাদের প্রতি মনোযোগ দেয়া উচিত নয় যারা আমাদের চাইতে উত্তম, তাহলে আমাদের যা কিছু আছে তা নিয়ে আমরা কখনোই সন্তুষ্ট হতে পারবো না। নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন,

যদি কোন আদম সন্তানকে একটি স্বর্ণের পাহাড় দেয়া হয় সে আরেকটি চাইবে।
[সহীহ মুসলিম]


কথায় বলে, নদীর এপার কহে ছাড়িয়া নিঃশ্বাস, ওপারাতে সর্ব সুখ আমার বিশ্বাস। আমরা যদি সর্বদা বস্তু জগতের পেছনে ছুটতে থাকি, তবে কখনোই সন্তুষ্ট হতে পারবো না। অন্যদিকে আমরা যদি আমাদের চাইতে কম ভাগ্যবানদের দিকে দৃষ্টিপাত করি তবে আমরা বুঝতে পারবো আল্লাহ (সুবহানাহু ওয়া তা’আলা) আমাদের প্রতি কত দয়া ও অনুগ্রহ করেছেন, তা যত ছোটই হোক না কেন।

এ ব্যাপারে আরেকটি হাদীস আছে যা বস্তু জগতের ব্যাপারে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি কেমন হওয়া উচিত তা নির্দেশ করে এবং এটি স্টিভেন কনভে’র “আগের কাজ আগে” (first things first) তত্ত্ব যা নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রায় সাড়ে ১৪০০ বছর আগেই বলে গিয়েছেন,

যে ব্যক্তি দুনিয়াকে তার লক্ষ্য বানিয়ে নেয়, আল্লাহ তার কাজকর্মকে বিভ্রান্তিমূলক করে দিবেন এবং তার চোখের সামনে দারিদ্রকে ফুটিয়ে তুলবেন, আর আল্লাহ তার ভাগ্যে যা কিছু লিখে রেখেছেন তার বাইরে সে কিছুই অর্জন করতে পারবে না।
[ইবনে মাজাহ ও ইবনে হিব্বান]


তাই দুনিয়াকে লক্ষ্য বানিয়ে যে তার কাজকর্ম চালিয়ে যায়, সেগুলো তার জীবনে কোন কাজে আসবে না। তার যত টাকাই থাকুক না কেন, আল্লাহ তার সামনে দারিদ্রতা এনে দিবেন এবং সে নিজেকে গরীব ভাববে। যখনই কেউ তার সাথে হাসিমুখে কথা বলবে, সে ভাববে তারা এমনটি করছে শুধুমাত্র তার টাকার জন্য।

যখন শেয়ার বাজারে ধস নামে, তখন আপনারা হয়তো অনেকেই খবরে পড়ে থাকবেন কিছু শেয়ার হোল্ডার আত্মহত্যা করেছে। কোন লোকের হয়তো ৫০ লক্ষ টাকা ছিল এবং শেয়ার বাজার ধসের কারণে তার ৩৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি হল। যদিও তার এখনও ১৫ লক্ষ টাকা আছে, ৩৫ লক্ষ টাকার ক্ষতিই তার কাছে মনে হয় তার জীবনের শেষ। ফলে তার কাছে আর বেঁচে থাকার কোন মূল্য থাকে না। আর এভাবেই আল্লাহ তার সামনে দারিদ্রকে উপস্থিত করেন।

অন্তরের প্রশান্তি অর্জন করা সম্ভব নিজেকে আল্লাহর কাছে সমর্পণ করার মাধ্যমেঃ

আমাদের সব সময় খেয়াল রাখতে হবে যে, একজন মানুষ সামান্যও বেশি পাবে না, যা আল্লাহ তার ভাগ্যে লিখে রেখেছেন তা ছাড়া। সর্বোপরি বিরামহীন ছুটোছুটি, গভীর রাত পর্যন্ত জেগে থাকা, ভীষণ কর্মাসক্ত হয়ে পড়া- যা-ই করা হোক না কেন, একজন মানুষ তা-ই পাবে যা আল্লাহ তার জন্য নির্ধারণ করে রেখেছেন। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন,

যে ব্যক্তি পরকালকে তার লক্ষ্য বানিয়ে নেয়, আল্লাহ তার সকল কাজ নিজের করে নেন, তার অন্তরে (বিশ্বাসের) প্রাচুর্যতা দান করেন এবং পৃথিবী তার দিকে বিনয়ের সাথে অনুগত হয়ে আসে।
[ইবনে মাজাহ ও ইবনে হিব্বান]


আর এমন ব্যক্তিই অন্তরের প্রাচুর্যতা লাভ করেন। এ প্রাচুর্যতার অর্থ প্রচুর পরিমাণে (জাগতিক) সম্পদ থাকা নয়, বরং প্রচুর পরিমাণে অন্তরের সম্পদ থাকা। আর এই অন্তরের সম্পদ কী? এটা হচ্ছে আত্মতুষ্টি। নিজেকে আল্লাহর কাছে সমর্পণ করার মাধ্যমেই আত্মতুষ্টি অর্জন করা সম্ভব। এটা থেকেই প্রশান্তির জন্ম এবং এটাই ইসলাম।

অন্তরের প্রশান্তি হচ্ছে ইসলামকে অন্তরে ধারণ করা এবং জীবনকে ইসলামের মূলনীতি অনুসারে পরিচালনা করা। ফলে আল্লাহ তার অন্তরে প্রাচুর্যতা দান করবেন এবং পুরো পৃথিবী অবনত মস্তকে তার অনুগত হবে। আর এ ধরনের মানুষকে কখনও দুনিয়ার পেছনে ছুটতে হবে না।

যে ব্যক্তি “আগের কাজ আগে” করবে, অর্থাৎ পরকালকে প্রাধান্য দিবে তার জন্য নবীজির এটি একটি ওয়াদা। যদি জান্নাত লাভ করাটাই আমাদের লক্ষ্য হয়, তবে আমাদের উচিত তা জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে বহিঃপ্রকাশ করা এবং আমাদের লক্ষ্যকে শুধুমাত্র পরকালের দিকে কেন্দ্রিভূত করা।

তাহলে আমরা কীভাবে বুঝবো আমাদের লক্ষ্য পরকাল? যদি আমরা কোন মানুষের সাথে বসি এবং কথাবার্তা বলার সময় শুধুমাত্র নতুন গাড়ি, বাড়ি, ভ্রমণ কিংবা টাকা-পয়সার কথাই বলি, যদি আমাদের কথাবার্তার মূল বিষয় জাগতিক ব্যাপারে হয় অথবা কখনও এর ব্যাপারে নিন্দা করা কখনও ওর ব্যাপারে নিন্দা করা হয় তবে আমাদের লক্ষ্য পরকাল নয়। যদি আমাদের লক্ষ্য পরকাল হত তবে তা আমাদের কথাবার্তাতেই ফুটে উঠতো। এটি একটি মৌলিক স্তর যার মাধ্যমে আমরা নিজেদের বিচার করতে পারি। তাই আমাদের এখনই থামা উচিত এবং নিজেকে প্রশ্ন করা উচিত, “কী কী ব্যাপারে কথাবার্তা বলে আমরা আমাদের অধিকাংশ সময় ব্যয় করি?”

যদি আমরা দেখি যে এই দুনিয়াকেই আমরা বেশি প্রাধান্য দিচ্ছি, তবে পূণরায় আমাদের লক্ষ্য স্থির করতে হবে। আমাদেরকে “আগের কাজ আগে” করতে হবে অর্থাৎ পরকালের জীবনকে দুনিয়ার জীবনের উপর প্রাধান্য দিতে হবে। আর আমরা যদি এটা করতে পারি তবেই অন্তরের প্রশান্তি অর্জন করতে পারবো। আল্লাহ পবিত্র কুর’আনে অন্তরের প্রশান্তি অর্জনের জন্য একটি যথাযথ ধাপের কথা বলে গেছেন। আল্লাহ বলেন,

জেনে রাখ, আল্লাহর যিকির দ্বারাই অন্তরসমূহ শান্তি পায়।
[আর-রাদঃ ২৮]

তাই একমাত্র আল্লাহর স্মরণেই অন্তরসমূহ শান্ত হয়। এটাই অন্তরের প্রশান্তি। মুসলিম হিসেবে আমাদের প্রতিটি কাজেই আল্লাহকে স্মরণ করা উচিত। ইসলাম হচ্ছে আল্লাহকে স্মররণের মাধ্যমেই জীবন যাপন করা। আল্লাহ বলেন,

আমিই আল্লাহ আমি ব্যাতীত কোন ইলাহ নেই। অতএব আমার ইবাদত কর এবং আমার স্মরণার্থে নামাজ কায়েম কর।
[ত্বা-হাঃ ১৪]

আল্লাহ আরও বলেন,


আপনি বলুনঃ আমার নামাজ, আমার কুরবানী, এবং জীবন ও মরণ বিশ্ব-প্রতিপালক আল্লাহরই জন্যে।
[আল-আন’আমঃ ১৬২]


এটাই হচ্ছে অন্তরের প্রশান্তি অর্জনের উপায়, জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আল্লাহকে স্মরণ করা।

আল্লাহর স্মরণ (যিকির) বলতে (কিছু মানুষের) এই ধারণাকে বোঝায় না যে, একটি অন্ধকার ঘরের কোণায় বসে প্রতিনিয়ত বলে যাওয়া, “আল্লাহ, আল্লাহ, আল্লাহ...।” তবে হ্যাঁ, এই ধরনের লোক আল্লাহর নাম বলছে ঠিকই, কিন্তু যদি আমরা এভাবে ভাবি, কেউ আপনার কাছে এসে (ধরুন আপনার নাম মুহাম্মদ) যদি বারবার বলতে থাকে, “মুহাম্মদ, মুহাম্মদ, মুহাম্মদ...” আপনি অবাক হয়ে ভাবতে থাকবেন, লোকটার আবার কী হল? সে কী কিছু চায়? কোন কথাবার্তা বলা ছাড়া বারবার আমার নাম উচ্চারণ করার উদ্দেশ্য কী?

এটা আল্লাহকে স্মরণ করার সঠিক পদ্ধতি নয়, কারণ নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহকে এভাবে স্মরণ করেননি এবং এ ধরনের কাজের কোন দলিলও নেই। আবার কিছু কিছু মানুষ বলে, আল্লাহকে স্মরণ করতে হবে নেচে নেচে কিংবা এদিক ওদিক মাথা ঝাঁকিয়ে, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও হাস্যকর।

নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-ও তাঁর জীবন জুড়ে আল্লাহকে স্মরণ করেছেন, আর এটাই প্রকৃত আল্লাহকে স্মরণ, যা আমাদের সালাত, দু’আ, বাঁচা-মরা সর্বাবস্থায় করা উচিত।

সংক্ষেপে, অন্তরের প্রশান্তির বিষয়টি জড়িত আমাদের জীবনে বিদ্যমান সমস্যা ও বাঁধা-বিপত্তিগুলো অনুধাবনের সাথে। অন্তরের প্রশান্তি তখনই আসবে যখন আমরা অনুধাবন করতে পারবো আমাদের জীবনের বাঁধাগুলোকে, বুঝতে পারবো কোন বাঁধাগুলো জয় করা সম্ভব এবং সেদিকে মনোযোগী হব।

আমরা যদি নিজেদেরকে পরিবর্তন করি, তবে আল্লাহ আমাদের চারপাশের জগতকে পরিবর্তন করে দিবেন। যদি পৃথিবীতে দাঙ্গা-হাঙ্গামাও চলতে থাকে, তবুও আল্লাহ আমাদের অন্তরে প্রশান্তি দান করবেন। যা-ই ঘটুক না কেন, আমরা জানি যে, সবকিছুই আল্লাহর পক্ষ থেকে এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমাদের জন্য পরীক্ষা। আর এর মূল উদ্দেশ্য আমাদের কল্যাণ সাধন। আল্লাহ আমাদের জন্য এ পৃথিবীকে সৃষ্টি করেছেন জান্নাত লাভের একটি মাধ্যম হিসেবে। আর পরীক্ষাগুলো হচ্ছে আমাদের আধ্যাত্মিক উন্নতি সাধনের পথ। আমরা যদি এসবকিছু মেনে নিতে পারি, আল্লাহকে অন্তরে ধারণ করতে পারি, তবেই অন্তরের প্রশান্তি খুঁজে পাবো।

পাদটীকাঃ

[১] স্টিভেন কনভে একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন লিডারশিপ অথরিটি এবং Convey Leadership Center এর প্রতিষ্ঠাতা।

0 on: "অন্তরের প্রশান্তির খোঁজে (পর্ব ২)"